Life Style
একজন সফল Freelancer হিসাবে
প্রথমেই ঃ
আজ একজন নতুন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে একজন স্মার্ট এই মার্কেটপ্লেসে আপনাকে স্বাগতম । প্রথম সময় টুকুতে হয়ত প্রতিনিয়ত আপনি প্রতিদিনই নিত্যনতুন এক অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হইয়ে দেখবেন। এদের মধ্যে অধিকাংশই হয়তো হবে তিক্ত অভিজ্ঞতার! আর তাই আজ একজন, নতুন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে,আমার প্রথম দিকের অভিজ্ঞতা থেকে কিছু শেখা বিষয়ের ব্যাপারে আজ আপনাদের সাথে আলোচনা করবো।
ধৈর্যশীলতার পরীক্ষারঃ
আপনি নতুন কিছু শেখার ক্ষেত্রে,অবশ্যই আপনাকে ধৈর্যশীল হওয়াটা অনেক বেশ জরুরী।ধরুন সেটাও হতে পারে বাইক চালানো কিংবা নতুন কোনো ভাষা শেখা বা গান শেখার মত। তবে,এ সময় আপনাকে শিখতে ধৈর্যের সাথেই লেগে থাকার মাধ্যমেই য়াপ্নার অর্জিত হতে পারে কাঙ্ক্ষিত মূল্যবান সাফল্য।তবে হয়তো আমার স্মৃতির পাতায় উল্টোলে দেখা যাবে, নিজ ইচ্ছা হয়েই, আমি বহুবারই নতুন নতুন কিছু শেখার আগ্রহ প্রকাশ করেছি। তবে এর কিছু দূর আগানোর পর “আমাকে দিয়ে হয়ত এসব হবে না,মাথায় ঢুকছে না কিংবা আমার কোন গাইড লাইন নেই এটা” ভেবেও পিছিয়ে গেছি। তবে কখনো কখনো আবার অন্য কারো সফলতা দেখেও উৎসাহ হারিয়ে ফেলেছিলাম। কিন্তু তবে, ওইসব সময়ে আমি একটু ধৈর্য ধরে কাজের উপর থাকতাম,দেখা যেতো তাহলে আমি হয়তো সেই সময়ে ঠিকই সাফল্য পেয়ে যেতাম এবং আমার পারিশ্রমিক ও সার্থক হত। আমার এক্সপ্রিয়েন্স এর ঝুলিতেও জমা পড়ে যেতো আরও কিছু সফলতার গল্প!
আর ফ্রিল্যান্সিংয়ের এই বিশাল কর্ম্মমুখি দুনিয়াতে, সেসব এক্সপ্রিয়েন্স মোটিভেশন হিসেবে কাজে লাগাতে হয়। আমি সেখান থেকে ধরে নিচ্ছিই,হুয়তো ইতিমধ্যেই আপনি কোনো না কোন ফ্রিল্যান্স এর সাইটে অ্যাকাউন্ট খুলেফেলেছেন এর কারণ হয়তো, অবশ্যই আপনার কাজে লাগানোর মতো কোনো না কোনো ধরনের স্কিল আছে যেতা কিনা আপনি অনেক বেশি ভালো পারেন। আর প্রথম দিকতায় আমি প্রায় ৪টি জিনিস শিখেছিলাম যা হয়ত আপনি নতুন ফ্রিল্যান্সার হিসেবেও এই টিপস এন্ড ট্রিক গুলো কাজে লাগাতে পারেন।
নিজেকে সব সময়ই প্রস্তুত রাখুনঃ
গুগলের কমিউনিটি এবং বিভিন্ন রকমের ফোরাম গুলো থেকে বেশি বেশি আর্টিকেল বা টিপস বা ব্লগ পড়ুন।যা কিনা শুধু ফ্রিল্যান্সার দের জন্য লেখা কোন আর্টিকে্লের মধ্যে সীমাবদ্ধতা না থেকে,এবং ক্লায়েন্টদের জন্যও লেখা আর্টিকেল গুলোও বেশি বেশি করে পড়ুন। এতে ক্লায়েন্টরা কিভাবে চিন্তা করে সে ব্যাপারেও আপনার বেশ ভালো একটি ধারণা পেয়ে পাবেন। এবং যার এর ফল শ্রুতিতে, আপনিও হয়ত তাদের সাথেই কাজে নামার আগে হয়ত তাদের চাহিদা অনুযায়ী সব সময় নিজেকে প্রস্তুত রাখার সুযোগ পেয়ে যাবেন।
অংশ নিন কমিউনিটি ডিসকাশন বা ফোরামেঃ
কমিউনিটি ডিসকাশন কিংবা ফোরামগুলোকে ভালোভাবে কাজে লাগান।এতে আপনি কোনো প্রশ্নের সম্মুখীন হলে, সাথে সাথে সেখানে জানাবেন এতে আপনার ক্ষেত্রে এক নতুন এক্সপ্রিয়েন্স হবে।যে কোনো কাজে হতাশ লাগছে? কিছুটা মোটিভেশন বা ইন্সপিরেশন দরকার? তাহলে ব্যস্ততার মাঝে কয়েক ঘণ্টা সময় বের করে ডিসকাশন ফোরাম বা ব্লগে সময় কাঁটাতে পারেন।তবে আমি মনে করি সবচেয়ে ভালো ইন্সপিরেশন, অভিজ্ঞতা কিংবা সাফল্যের গল্পগুলো হয়তো প্রচুরওখানেই পেয়ে যাবেন। তবে, প্রয়োজনের বেশি সময় একদম মোটেও কাটানো যাবে না। এতে আপনার কাজের ক্ষতি হবে বা হতে পারে। যা খুঁজতে এসেছিলেন তা, পাওয়া মাত্রই আবার সেখান থেকে কাজে ফিরে যান।
ফ্রিল্যান্সিং এর ক্ষেত্রে প্রোপোজালের প্রতি যত্নবান থাকুনঃ
সব সময় ক্ল্যায়েন্টের সাথে সফলভাবে নতুন নতুন কন্ট্রাক্ট করার ক্ষেত্রে, আপনার প্রোপাজাল খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। প্রোপাজাল লেখার সময়ও বাড়তি যত্ন এবং মনোযোগ দেয়া যেনো আপনার প্রোপোজাল টি ইউনিক এবং ভালো ভাবে ক্লিয়ার বুঝানো যায়।কারন ক্লায়েন্টের সাথে আপনার প্রথমবার যোগাযোগের মাধ্যম এই প্রোপোজাল। তবে কিন্তু, সেই প্রোপোজালটিই যদি ভুল-ক্রুটিপূর্ন হয়, তাহলে, যা হবে ক্লায়েন্ট নিশ্চয়ই আপনার সম্পর্কে খুব বেশী ভালো ধারণা পাবে না। তাই, প্রোপোজাল লেখা শেষে আপনি নিজেই অন্তত ৫/৬ বার করে পড়ে নিন।যে কোনো গ্রামাটিক্যাল কিংবা বানান ভুল আছে কিনা চেক করে দেখে নিন। তবে, নিজের লেখা খুব বেশিবার পড়ার ফলে কিন্তু চোখের দৃষ্টির জন্য অনেক সময় ভুল-ত্রুটি গুলো চোখ থেকে সয়ে যায়। তাই,য়াপনার পরিচিত কাউকে দিয়ে লেখাটি পারলে আপনি একবার চেক করিয়ে নিলে কিন্তু সেটা সবচেয়ে বেশী ভালো হয়।
আপনার ব্রেইনকে বিশ্রাম দিনঃ
অনেক সময় একটানা কাজ করার ফলে কাজে একটা একঘেয়ে ভাব এসে যেতে পারে।য়ার এতে অনেক সময়ই, কাজের প্রতি একটা অনীহাতাও চলে আসে। তাই মাঝে মাঝে একদম জরুরী না হলে একটানা কাজ থেকে বিরতি নিয়ে থেমে থেমে করুন। কিছুটা সময় কিবোর্ড ছেড়ে বিশ্রাম নিন। এতে আপনার রিফ্রেশড্ লাগবে পাশাপাশি, আপনার মস্তিষ্ক আরও ক্ষুরধার হবে এবং কাজে মনযোগ থাকবে।
পরিশেষেঃ
শুধু মাত্র খুব বেশি কঠোর পরিশ্রম করলেই কিন্তু সাফল্য অর্জিত হয় না।সাথে আপনার নিষ্ঠার সাথে কাজ করার পাশাপাশি, কাজ করার পদ্ধ্নারতেও হতে হবে স্মার্ট । আর একজন উঠতি নতুন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে, সাফল্য অর্জিত করতে হলে আপনাকে আরো অধিক দক্ষতার সাথে সাথে কার্যকর ভাবে আপনার পরিশ্রম করে স্বার্থক করতে হবে। সেক্ষেত্রে উপরে দেয়া টিপস গুলোর সাহায্য আপনি নিতে পারেন। আর সবসময়, আপনার উদ্দেশ্য এবং দক্ষতার ব্যাপারটা মাথায় নিয়ে কাজ করবেন।কারন এটিই আপনাকে আপনার লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে।
মনে রাখবেন, সাফল্য অর্জন করা কঠিন হলেও অসম্ভব নয়! ধৈর্যের সাথে ক্কাজে লেগে থাকুন এবং সুস্থ ভাবে কাজ করুন।
পাশে আছি আমি ➠ সব্যসাচী দেউরী 😊😊😊😊