Life Style
করোনা ভাইরাস লকডাউনে যাবার আগে প্রস্ততি জানুন
-হুট করে জ্বর আসলেই একবারে এন্টিবায়োটিক চালু করবেন না এই সময়। কারন এটি খুবই সংবেদশীল সময়, তাই এই সময় ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া একবারেই এন্টিবায়োটিক ওষুধ চালু করবেন না। তাছাড়া আরো জেনে রাখবেন যে, ভাইরাল ফিভার হলে কোন এন্টিবায়োটিক ওষুধ যদি চালু করেন তো এর হিতে বিপরীত হবে। জ্বরের সাথে যদি শুধু গায়ে ব্যথা করে তাহলে আতংকিত হয়ে যাবেন না,এবং বুঝবেন আপনি কোন প্রকার সিজনাল ফ্লুতে আক্রান্ত হয়েছেন। সে জন্য আপনি ২/৩ বেলা প্যারাসিটামল খেয়ে নিলেই ঠিক হয়ে যাবেন।
***তার পরেও এসব উপসর্গের সাথে যদি কোন প্রকার শুকনো কাশি বা শ্বাসকষ্ট বা গলা ব্যথা করে- অবশ্যই সতর্ক হয়ে যেতে হবে এবং খুব তারাতারি নিকটবর্তী কোন হাসপাতাল বা সম্ভব হলে IEDCR এর সাথে যোগাযোগ করতে হবে।***
-ধরুন আপনার যদি অতিরিক্ত কোন এক্সপোজারের ইতিহাস থেকে থাকে যেমন রেল/বাস স্ট্যান্ডে যাওয়া বা বাজার বা হাসপাতালে কাজ করছেন,তবে সেক্ষেত্রে অল্প জ্বরে নিকটবর্তী কোন হাসপাতালে গিয়ে আপনি CBC বা ব্লাড কালচার পরীক্ষা করে নিশ্চিত করে নিতে পারেন যে আপনার জ্বরটি কোন ভাইরাল না ব্যাকটেরিয়া জনিত, এরপরে দ্রুত ডাক্তারের কাছে পরামর্শ নিবেন।
– যারা এজমা/হাঁপানি রোগী আছেন, তাদের সব সময় উচিত ইনহেলার, এক্যুহেলার এখনই সংগ্রহ করে রাখা।যাতে বাসায় বয়স্ক কেউ যদি শ্বাসকষ্টে ভুগে, তাদের জন্য একটি নেব্যুলাইজার মেশিনও কিনে বাসায় রাখতে পারেন এটা পরিবারের এসব রোগী দের জন্য রাখা ভাল। কারন লকডাউনের সময় হাসপাতাল গুলো যত দূরই পারা যায়, এড়িয়ে চলতে হবে।
-করোনার প্রভাব এবং মহামারী খুব বেশি বেড়ে গেলে বাইরের তেমন মুরগীর মাংস বা প্রান্তিক পর্যায় বাজার জাত হয় এমন কিছু কিনবেন না, কারণ মনে রাখবেন যে করোনা ভাইরাসটি কিন্তু পাখী জাতীয় প্রানী যেমন ধরুন হাঁস, মুরগী, কোয়েল ইত্যাদি প্রানীকেও আক্রমণ করে থাকতে পারে।তাই এসময়ে হাঁস, মুরগী, কোয়েল এর মাংস ও ডিম- দুটোই এড়িয়ে চলাটা ভাল। এসব খাওয়ার ইচ্ছে যদি বেশী থাকে তো এখনই কিনুন ও বেশী করে খান। মহামারী শুরু হলে হাঁস, মুরগী, কোয়েলের মাংস খাওয়া একদম পুরোপুরি বন্ধ করে দিতে হবে।তবে তখন অবশ্য খাসী ও গরু মাংস খাওয়া যেতেই পারে।
– লকডাউনের শাকসবজী ও গরম স্যুপ বেশী করে খাওয়া ভাল। ঠান্ডা যে কিছু খাওয়া বন্ধ রাখতে হবে। সকালে চা, কফি খাওয়ার অভ্যাস গড়ুন। রাতে চা, কফি এড়িয়ে চলা ভাল, এতে ঘুমের ব্যঘাত ঘটতে পারে। রাতে প্রয়োজনে গরম পানি খান।
– টক জাতীয় ফল খান বেশী করে।
-এই সময়ে বাইরের মানুষজন এর আনাগোনা পারলে বন্ধ করে দিন। অবশ্য মেনমানদারী করা আমরা বাঙালীদের ঐতিহ্য, তবে এই ঐতিহ্য এখন বিসর্জন করে দেয়া আবশ্যক কিছু দিনের জন্য।তাই ভাড়াটিয়াদের বলেন,যে বাইরের কোন মেহমান না আনতে। কারন বেছে তাহকলে দেখা হবে আর আপনি নিজেই যদি ভাড়াটিয়ে হয়ে থাকেন তাহলে আপনি বাড়িওলাকে অনুরোধ করবেন যে, বাইরের মানুষজন যতদূর সম্ভব কম করে যেন ঢোকানো হয়ে থাকে এপার্টমেন্টে।
-এসময়ে বাইরে থেকে যদি কোন বুয়া আসে,তাহলে তাকে ছুটি দিয়ে দিন আগামী কয়েক মাসের জন্য (তবে পেইড লিভ দিলে ভাল হয়, এসময় এই মানবতাটুকু দেখাবেন প্লিজ, তাহলে সেই বুয়াও আর কাজে বের হবে না এই মহামারীর সময়ে)।
– নিতান্তই দরকার না হলে বাজারে যাবেন না কারণ বাজার থেকে করোনা বেশী ছড়াবে। আর গেলে ভীড়ের সময় যাবেন না, ভীড় কম থাকলেই বাজারে প্রবেশ করবেন। আবারো বলছি, লকডাউনের হাসপাতাল ও বাজার – এই দুটি জায়গা যতদূর সম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে।
-সব সময় কাগজের নোট টাকা ধরার পর অবশ্যই ভালো করে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করবেন। সবচেয়ে ভাল হয় কাগজের নোট ব্যবহার পরিহার করা। বিকাশ কিংবা রকেটে টাকা লেনদেন করুন।
– প্রয়োজন মতন করে কিছু ওষুধ বা ফাস্ট এইড আগাম কিনে রাখতে পারেন, যেমন খাবার স্যালাইন বা গ্যাসের ওষুধ (anti-ulcerant) বা পেট ব্যথার ওষুধ, ঘুম ও মাথা ব্যথা এবং অবশ্যই প্যারাসিটামল। যদিও ওষুধের দোকান গুলি খোলা থাকবে লকডাউনের সময়, সুতরাং বাইরে বের হওয়া থেকে একবারেই বিরত থাকতে প্রয়োনজনীয় কিছু ওষুধ কিনে রাখা যেতে পারে তবে ওষুধ নিয়ে দুশ্চিতার কারণ দেখছি না।
– বাসার কল, গ্যাসের চুলা কিংবা অন্যান্য জিনিস নষ্ট থাকলে এখনই সারিয়ে নিন।
লকডাউনে সারাতে ঝামেলা হবে।
– মোবাইলে বেশী করে টাকা রিজার্চ করে রাখুন কারন দোকান বন্ধ হয়ে যেতে পেরে যেকোন সময়ই।
-যাদের বাসায় কার্পেট রাখা আছে, সেগুলো দ্রুত সরিয়ে ফেলুন কারণ ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার উর্বরভূমি হলো এসব কার্পেট।
***তার পরেও এসব উপসর্গের সাথে যদি কোন প্রকার শুকনো কাশি বা শ্বাসকষ্ট বা গলা ব্যথা করে- অবশ্যই সতর্ক হয়ে যেতে হবে এবং খুব তারাতারি নিকটবর্তী কোন হাসপাতাল বা সম্ভব হলে IEDCR এর সাথে যোগাযোগ করতে হবে।***
-ধরুন আপনার যদি অতিরিক্ত কোন এক্সপোজারের ইতিহাস থেকে থাকে যেমন রেল/বাস স্ট্যান্ডে যাওয়া বা বাজার বা হাসপাতালে কাজ করছেন,তবে সেক্ষেত্রে অল্প জ্বরে নিকটবর্তী কোন হাসপাতালে গিয়ে আপনি CBC বা ব্লাড কালচার পরীক্ষা করে নিশ্চিত করে নিতে পারেন যে আপনার জ্বরটি কোন ভাইরাল না ব্যাকটেরিয়া জনিত, এরপরে দ্রুত ডাক্তারের কাছে পরামর্শ নিবেন।
– যারা এজমা/হাঁপানি রোগী আছেন, তাদের সব সময় উচিত ইনহেলার, এক্যুহেলার এখনই সংগ্রহ করে রাখা।যাতে বাসায় বয়স্ক কেউ যদি শ্বাসকষ্টে ভুগে, তাদের জন্য একটি নেব্যুলাইজার মেশিনও কিনে বাসায় রাখতে পারেন এটা পরিবারের এসব রোগী দের জন্য রাখা ভাল। কারন লকডাউনের সময় হাসপাতাল গুলো যত দূরই পারা যায়, এড়িয়ে চলতে হবে।
-করোনার প্রভাব এবং মহামারী খুব বেশি বেড়ে গেলে বাইরের তেমন মুরগীর মাংস বা প্রান্তিক পর্যায় বাজার জাত হয় এমন কিছু কিনবেন না, কারণ মনে রাখবেন যে করোনা ভাইরাসটি কিন্তু পাখী জাতীয় প্রানী যেমন ধরুন হাঁস, মুরগী, কোয়েল ইত্যাদি প্রানীকেও আক্রমণ করে থাকতে পারে।তাই এসময়ে হাঁস, মুরগী, কোয়েল এর মাংস ও ডিম- দুটোই এড়িয়ে চলাটা ভাল। এসব খাওয়ার ইচ্ছে যদি বেশী থাকে তো এখনই কিনুন ও বেশী করে খান। মহামারী শুরু হলে হাঁস, মুরগী, কোয়েলের মাংস খাওয়া একদম পুরোপুরি বন্ধ করে দিতে হবে।তবে তখন অবশ্য খাসী ও গরু মাংস খাওয়া যেতেই পারে।
– লকডাউনের শাকসবজী ও গরম স্যুপ বেশী করে খাওয়া ভাল। ঠান্ডা যে কিছু খাওয়া বন্ধ রাখতে হবে। সকালে চা, কফি খাওয়ার অভ্যাস গড়ুন। রাতে চা, কফি এড়িয়ে চলা ভাল, এতে ঘুমের ব্যঘাত ঘটতে পারে। রাতে প্রয়োজনে গরম পানি খান।
– টক জাতীয় ফল খান বেশী করে।
-এই সময়ে বাইরের মানুষজন এর আনাগোনা পারলে বন্ধ করে দিন। অবশ্য মেনমানদারী করা আমরা বাঙালীদের ঐতিহ্য, তবে এই ঐতিহ্য এখন বিসর্জন করে দেয়া আবশ্যক কিছু দিনের জন্য।তাই ভাড়াটিয়াদের বলেন,যে বাইরের কোন মেহমান না আনতে। কারন বেছে তাহকলে দেখা হবে আর আপনি নিজেই যদি ভাড়াটিয়ে হয়ে থাকেন তাহলে আপনি বাড়িওলাকে অনুরোধ করবেন যে, বাইরের মানুষজন যতদূর সম্ভব কম করে যেন ঢোকানো হয়ে থাকে এপার্টমেন্টে।
-এসময়ে বাইরে থেকে যদি কোন বুয়া আসে,তাহলে তাকে ছুটি দিয়ে দিন আগামী কয়েক মাসের জন্য (তবে পেইড লিভ দিলে ভাল হয়, এসময় এই মানবতাটুকু দেখাবেন প্লিজ, তাহলে সেই বুয়াও আর কাজে বের হবে না এই মহামারীর সময়ে)।
– নিতান্তই দরকার না হলে বাজারে যাবেন না কারণ বাজার থেকে করোনা বেশী ছড়াবে। আর গেলে ভীড়ের সময় যাবেন না, ভীড় কম থাকলেই বাজারে প্রবেশ করবেন। আবারো বলছি, লকডাউনের হাসপাতাল ও বাজার – এই দুটি জায়গা যতদূর সম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে।
-সব সময় কাগজের নোট টাকা ধরার পর অবশ্যই ভালো করে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করবেন। সবচেয়ে ভাল হয় কাগজের নোট ব্যবহার পরিহার করা। বিকাশ কিংবা রকেটে টাকা লেনদেন করুন।
– প্রয়োজন মতন করে কিছু ওষুধ বা ফাস্ট এইড আগাম কিনে রাখতে পারেন, যেমন খাবার স্যালাইন বা গ্যাসের ওষুধ (anti-ulcerant) বা পেট ব্যথার ওষুধ, ঘুম ও মাথা ব্যথা এবং অবশ্যই প্যারাসিটামল। যদিও ওষুধের দোকান গুলি খোলা থাকবে লকডাউনের সময়, সুতরাং বাইরে বের হওয়া থেকে একবারেই বিরত থাকতে প্রয়োনজনীয় কিছু ওষুধ কিনে রাখা যেতে পারে তবে ওষুধ নিয়ে দুশ্চিতার কারণ দেখছি না।
– বাসার কল, গ্যাসের চুলা কিংবা অন্যান্য জিনিস নষ্ট থাকলে এখনই সারিয়ে নিন।
লকডাউনে সারাতে ঝামেলা হবে।
– মোবাইলে বেশী করে টাকা রিজার্চ করে রাখুন কারন দোকান বন্ধ হয়ে যেতে পেরে যেকোন সময়ই।
-যাদের বাসায় কার্পেট রাখা আছে, সেগুলো দ্রুত সরিয়ে ফেলুন কারণ ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার উর্বরভূমি হলো এসব কার্পেট।