বেড়েছে অনলাইনে ফিশিং ও স্ক্যামিং, হ্যাকার রা হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা
করোনা ভাইরাসে যখন মানুষ ঘর বন্ধি,সেখানে হ্যাকার রা হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা,মানুষের এই লকডাউনের সুযোগ নিয়ে অনলাইনে বেড়েছে ফিশিং এবং স্ক্যামিং।যার ফাঁদে পা দিয়ে অনেক মানুষ প্রচুর পরিমান এ বিভিন্ন সাইবার এটার্কেও আক্রান্ত হচ্ছে।
বিভিন্ন ইমেইল ও ভুয়া ই-কমার্সের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে লোভ দেখিয়ে বোকা বানিয়ে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার হাতিয়ে নিচ্ছে এসব হ্যাকাররা।কেবল যুক্তরাষ্ট্রেই এসব পদ্ধতি অবলম্বন করেই হ্যাকাররা হাতিয়ে নিয়েছেন প্রায় ২১ লাখ ২০ হাজার পাউন্ড।যা যুক্তরাষ্ট্র অনুযায়ী এটি প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ ডলার।
যুক্তরাজ্যের একশন ফ্রড জানিয়েছে তারা এই সংক্রান্ত ৩ হাজার ৬০০+ এর মতন অভিযোগ পেয়েছেন।অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ট্রেড কমিশন জানিয়েছে তারা এই চলতি বছরে এইসব এমন বিষয়ে প্রায় ১৬ হাজার ৮০০ টি অভিযোগ পেয়েছে।
এই ইমেইলে ফিশিং সম্পর্কে আগেও সাবধান করা হয়েছে,এবং পরামর্শ দেয়া হয়েছে যে “যতই নির্ভর যোগ্য ইমেইল আড্রেস হোক না কেনো করোনা ভাইরাস সম্পর্কিত কোন ইমেইল এটাচমেন্ট (ডক ফাইল,ইমেজ,পিডিএফ) এর মতন কোন ফাইল ওপেন বা ডাউনলোড করবেন না।”
এসবের বাইরেও পিপি এবং মাস্ক বিক্রির নামে কিছু অনলাইনে ফাঁদ পেতে বসে আছে হ্যাকারের দল।যদি এসব কাজের জন্য কার্ডের তথ্য চায় তাহলে দিবেন না।
বিভিন্ন সুপারশপের ভাউচার নিয়েও হচ্ছে কারসাজি।অনলাইনে কোন প্রকার কোন ব্যাক্তির থেকে এসব ভাউচার কোড নিবেন না।কয়েকদিন আগেই নেটফ্লিক্সের দুই মাসের ফ্রি সাবস্ক্রিপশন এর মেসেজ দেখতে পারেন এটাই হচ্ছে স্ক্যাম আর এমন স্ক্যাম অহরহ হতে দেখবেনই। তাই ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে এসব ব্যবহার কারিদের দ্বায়িত্ত্বশীল হবার পরামর্শ রইলো।