
ব্যাকলিংক কি এবং এটি কিভাবে কাজ করেঃ
সম্মানিত ভিজিটর,কেমন আছেন আপনারা? আশা করি সবাই মোটামোটি ভাবে ভালো আছেন আপনাকে আপনার প্রিয় ব্লগে স্বাগতম, তো বর্তমানে গুগলে ২০০ এর অধিক র্যাঙ্কিং ফ্যাক্টর রয়েছে,গুগল ফাষ্ট পেজে আসতে হলে বেষ্ট র্যাঙ্কিং ফ্যাক্টর কি হতে পারে??
আর এদের মধ্যে প্রচলিত একটি শব্দ হচ্ছে ব্যাকলিংক, তো আসলে ব্যাকলিংক কি?
মজ(MOZ) একটি প্রতিষ্ঠান পৃথিবীর সব টপ Popular এসওই এক্সপার্টদের ইন্টারভিউ নিয়ে ছিলো ,এবং সেখানে প্রায় বেশীর ভাগ এসওই এক্সপার্ট রাই দাবি করে ছিলো সেটি হলো ‘ব্যাকলিংক’,এবার নিচে ধারাবাহিক ভাবে জেনে নেই ব্যাকলিংক কি এবং কিভাবে এটি কাজ করে,এবং কি কি বিষয় নিয়ে ব্যাকলিংক কাজ করে।
ব্যাকলিংক কি (What is Backlink):
সোজাভাবে বলতে গেলে ব্যাকলিংক হচ্ছে নিজের ওয়েবসাইটের সাথে অন্যসব ওয়েবসাইটের সাথে কানেক্টশন করা। এর মানে যখন কোন ভিজিটর ওইসব ব্লগ বা ফোরাম বা ওয়েবসাইটে আর্টিকেল পড়ছেন বা দেখতেছেন,সেখান কোন লিংক এড করে দিলে সেটায় ক্লিক করলে আপনার অর্থাৎ নিজের ওয়েবসাইট বা ব্লগে রিডিরেক্ট করে নিয়ে আসে অই ভিজিটর কে। সেটাই আপনার ওয়েবসাইটের জন্য ব্যাকলিংক ।
ব্যাকলিংক কিভাবে কাজ করেঃ
অর্থাৎ যে সকল ওয়েবসাইটের ব্যাকলিংক যত বেশি হয় সে ওয়েবসাইট গুলি গুগলে তত দ্রুত র্যাংকিং করবে, তো একটা ওয়েবসাইটের ব্যাকলিংক যদি ৫০০ বা ১০০০ হয় এবং অন্য ওয়েবসাইটের ব্যাকলিংক এর চেয়ে কম হয় বা ২০০ হয় তাহলে সেটা সংক্রিয় ভাবে অই ৫০০ ব্যাকলিংক এর ওয়েবসাইট টি গুগল সার্চ ইঞ্জিনের কাছে বেশি পাওয়ারফুল হিসাবে গুগল কাউন্ট করে।
এবার ধরে নিন আপনার ওয়েবসাইটের খুব কম সংখ্যক ব্যাকলিংক আছে এবার আপনি তাই ব্যাকলিংক তৈরি করার জন্য লিংক-বিল্ড ক্যাম্প করে যাচ্ছেন,কিন্তু গুগল এটা চেক করে দেখে যে আপনি কত টুকু সময়ের মধ্যে এবং সময় নিয়ে ব্যাকলিংক করছেন।
এবার ধরে নিন আপনি ১ দিন এ প্রায় ৪০ টা লিংক বানিয়ে ফেলেছেন কিন্তু বাস্তবিক পক্ষে এটা কোন ভাবেই কখনোই ইফেক্টিভ বা সফল লিংক বি-বিল্ডিং ক্যাম্পিং নয়,এটা কোন ন্যাচারাল লিংক বিল্ডিং নয়।
গুগল এটাই চেক করে দেখে আপনি Over the time এর মধ্যে ব্যাকলিংক তৈরি করে ফেলেছেন,সুতরাং আপনি যদি ৩০ দিন বা ১ মাস সময় নিয়ে ৪০ টা ব্যাকলিংক তৈরি করে ফেলেন সেটা বেশি কার্যকরী,যদি আপনি ১ দিনে ৪০ টা ব্যাকলিংক তৈরি করেন সেটা বেশি কার্যকর হয়ে ওঠে না গুগলের কাছে।
আরো দেখুনঃ হাই কোয়ালিটির ব্যাকলিঙ্ক বানাবেন কিভাবে জেনে নিন।
এবার আরেক টি বিষয় মাথায় রাখতে হবে যে সেটি হচ্ছে সম্পর্কযুক্ত ওয়েবসাইট।
সম্পর্কযুক্ত ওয়েবসাইট (Related Website):
ধরে নিন আপনার একটি রেষ্টোরা আছে এবার আপনি যদি সেই রেষ্টুরেন্টের ওয়েবসাইট থেকে প্রথম আলো বা বাংলা ট্রিবিউন এসব পত্রিকার ওয়েবসাইট থেকে ব্যাকলিংক পেয়ে যান তাহলে সেটা আপনার ওয়েবসাইটের ক্ষেত্রে গুগল র্যাংকিং এ বেশি কার্যকরি লিংক হিসাবে ভূমিকা রাখে। কারন এটিকে বাংলাদেশের অনলাইন পোর্টালের জন্য বেষ্ট ওয়েবসাইট বলা চলে এবং এই ওয়েবসাইট থেকে মূলত ব্যাকলিংক পাওয়া খুব কষ্ট কর।
তাই আপনি যদি প্রথম আলো বা বাংলা ট্রিবিউন সহ যেকোন টপ র্যাঙ্কিং এর ওয়েবসাইট থেকে ব্যাকলিংক পান সেটি আপনার ওয়েবসাইট বা যেকোন ধরনের ওয়েবসাইটের জন্য বেশি শক্তশালী একটি বিষয় বলা চলে,এবং আপনি যদি আমার ওয়েবসাইটে ব্যাকলিংক পান বা তৈরি করেন সেটা তেমন একটা কাজে লাগবে না আপনার এর কারন আমার ওয়েবসাইট অত টা বেশি পপুলার না।
এখন আপনি যদি আপনার রেষ্টুরেন্ট এর ওয়েবসাইট টি থেকে ফুডপান্ডা বা অন্যান্য টপ র্যাঙ্কিং এ থাকা ওয়েবসাইট থেকে ব্যাকলিংক পান তাহলে সেটি প্রথম আলো বা বাংলা ট্রিবিউন থেকেও বেশি কার্যকরী হবে এবং সেটি আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগের জন্য একবারে লিডিং ওয়েবসাইট বলা যায়,
সুতারং ব্যাকলিংক তৈরি করার ক্ষেত্রে একটি বিষয় মাথায় রাখা জরুরী সেটা হচ্ছে উক্ত ডোমেইন টি যেনো হাই কোয়ালিটি ওয়েব ডোমেইন এবং টপ লেভেলের ডোমেইন এবং আপনার ব্যাক্তিগত ব্লগ বা প্রতিষ্ঠান এর বেষ্ট তাদের থেকেও বেশি হয়ে থাকে।
আপনার যারা প্রতিষ্ঠানে যারা আছে যারা ফুডপান্ডার সাথে সম্পর্কযুক্ত এছাড়া রেষ্টুরেন্ট বা খাবার এর প্রতিষ্ঠান এর ব্যাকলিংক পান সেটা আপনাকে অনেক বেশি সাহায্য করবে আপনাকে গুগলের প্রথম পেজে আসার ক্ষেত্রে।
আরেকটি বিষয় আপনাকে খেয়াল করতে হবে এখানে সেটি হচ্ছে ডোমেইন অথোরিটি।
ডোমেইন অথোরিটি ( Domain Authority):
- অনেক বেশি ব্যাকলিংক বানাবেন
- সেটা এক দুইদিন এ নয় সেটা টাইম নিয়ে করতে থাকবেন
- আরেক টি হচ্ছে রিলেটেড বা সম্পর্কযুক্ত ওয়েবসাইট।