মোটিভেশনে কি সত্যি জীবন পাল্টায়
যাই হোক আমরা অনেকেই এই “মোটিভেশন” নামক বিশেষিত শব্দটার সাথে কমবেশি পরিচিত; মোটিভেশন জিনিসটাও আসলে অনেক চমৎকার,যা বুঝতে হবে কিংবা বুঝার চেষ্টা করতে হবে!
মোটিভেশনে কি সত্যি জীবন পাল্টায়:
তো এই যেমন ধরে নিন আপনি প্রায় চার মাস ধরে জুতার শুকতলা খাইয়েও একটা চাকুরী-বাকুরী না পেয়ে হতাশায় পটাশিয়াম সায়ানাইড এর মতন মারাত্মক বিষ খেতে চাচ্ছেন এমন সময় ধরে নিন আমি যদি আপনাকে এসে একটি সফলতারচসুন্দর গল্প শুনিয়ে অনুপ্রাণিত করি তাহলেই নিশ্চিত যে আপনার চোখে শুধু মাত্র আমি আইডল কিংবা কিং হয়ে যাবো ;এবং এর ফলশ্রুতিতে আপনি আবার বাজার হতে আরও একজোড়া নতুন জুতা কিনে নিবেন চাকুরী পাবার আশায় পথে পথে ঘুরবেন….
আমাদের বাংলাদেশ এবং মোটিভেশন :
“সেলিব্রেটিদের পঁচিয়ে সেলিব্রেটি হওয়া,এক কথায় বলতে গেলে আমরা যাকে রোষ্টিং বলে থাকি”তবে একটি সহজতম সমীকরণ আজ আমি এখানে কোন প্রকার তর্ক করতে আসিনি বা কারো সমালোচনাও করতেও আসিনি;এসেছি শুধুমাত্র আমাদের বাংলাদেশের স্বাপেক্ষে কয়েকটি মোটিভেশনের স্বরূপ তুলে ধরতেই উদাহরন দিলাম মাত্র তাছাড়া আর কিছুই নয়।
বাংলাদেশে মোটিভেশনাল নামক বিষয়টা হলুদ প্রশ্নবোধকের ন্যায় চিহ্ন হলেও উন্নত বিশ্বে এর সাইকোলজিক্যালি মোটিভেশন বিষয়টি প্রতিদিনকার জীবনেরই একটি অংশ; সেখানে একজন মানুষ কেবল টাকার বিনিময়েই সাইকিয়াট্রিস্টের (বা সাইকোলজি স্পেশালিষ্ট এর) নিকট কনসার্ন গ্রহণ করে থাকেন।
সুতরাং মোটিভেশনের সাথে ধনী-গরীবের কিংবা মধ্যবিত্তের সাথে কোন সম্পর্ক নেই; তবে সাঠিক এবং কার্যকর মোটিভেশন একজন গরীব মানুষ কেও ধনী মানুষে পরিণত করতে সাহায্য করতে পারে; মূলত মোটিভেশন বিষয়টি হলো সফলতার মহাঔষধ!
মোটিভেশন কোন প্রকার প্যারাসিটামল নয়ঃ
তাই মোটিভেশন মানেই মনগড়া কোন উপদেশ নয়, কেননা মনগড়া উপদেশের ভেতরটা প্রায়শ ফাঁকা হয়!
[তবে হ্যা,এখানে কিছু কমন বিষয়ে আমাদের মোটিভেশন সবার জন্যই প্রায় প্রযোজ্য বটে]
আদর্শ এবং জীবনমুখী মোটিভেশন :
এখানে আমি আবারো এটাই বলছি “আদর্শ মোটিভেশন সম্পুর্নভাবে ইউনিক হওয়া উচিত” তাই তা আমার এই লেখার মধ্যেই যে আপনার জীবনের সকল সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে, এমন কোন তাবিজ-কবজ বিক্রি করার নাম আর যাই হোক এটা কোন মোটিভেশন নয়।
আমাদের ঞ্জীবনের জন্য শুধুমাত্র এই ইচ্ছাশক্তি+ ধৈর্য্য+পরিশ্রম+জ্ঞান-বুদ্ধি হলেই চলবে না বরং সফলতার রাস্তায় হাটতে গেলে এইসব বিষয়বস্তু কিভাবে কি ইউটিলাইজ করতে হবে সেই পথটাও তো আমাদের দেখাতে হবে নাকি??
তাই আমি এটা বলতেই পারি যে “একটা সম্যে শাহরুখ খান ভারতের মুম্বাই এর রাস্তায় রাস্তায় রাত-দিন পার করে কাটিয়ে গৌরির খোজে তিনি আজকের সুপারস্টার হয়ে গিয়েছেন” অথচ একসময় সেই তার যেই বন্ধুটিকে সামান্য কিছু টাকা দিতো সেটিই একসময় তাকে পথ চলার অনুপ্রেরণা জোগায় আর শুকনা রুটিতেই পেট ভরানোর মতোন ইচ্ছা শক্তি যুগিয়েছিলো; এটাই হচ্ছে একটি আদর্শ মোটিভেশন!
শুকনা কথাতে যেমন চিড়া ভিজতে পারে না বটে তবে সফলতার জন্য শুধুমাত্র কোন উপদেশি নয় বরং সঠিক পথের অনুসন্ধান দেওয়াটাও আবশ্যক।
I’m Only The Perfect Motivational Speaker :
উদারণস্বরূপ ধরুন আমার নিজের বাসার টয়লেট ছাড়া আমি অন্য কারো বাসার টয়লেট ব্যবহার করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করিনা; তাই বলে পথের মাঝে যদি প্রাকৃতিক ডাক দেয় তাহলে ঠিকই কিন্তু পাঁচ টাকা খরচ করে পাবলিক টয়লেটে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিই!
বিষয়টা যতোই ঘেন্নার হউক আমি কিন্তু ঠিকই ইভ্যুউলুটেড হয়েছি মানে এখানে আমি অভিযোজিত হয়েছি।
একইভাবে সমগ্র সমস্যা আর পরিস্থিতি মেকাবেলায় আপনার ব্রেইন স্বকীয়ভাবেই এই মোটিভেশনের কাজ করে; আপনার প্রয়োজন শুধুমাত্র “দুঃশ্চিন্তা” হতে “দুঃ” নামক দূরব্যাধি করে “চিন্তা” করা।
খুবই সহজ সলুউশান তাইনা??
আমাদের লাইফের সকল প্রকার হতাশা এবং সমস্যা সমাধানের জন্য দুইজন ফ্রি মোটিভেশন গাইড আছে (১) মন(মাইন্ড) আর (২) মাথা(ব্রেইন); তাদেরকে কাজে লাগিয়েই জীবনের সকল সমস্যার সমাধান সম্ভব।
আসুন আমি কিছু ডেমো হিসেবে আপনাকে কিছু পথ বলে দেই…..
আর চূড়ান্ত সত্যটা হলো ইশ্বর স্বার্থপর নয়।
★সমস্যা: ধূর….লাইফটাই কেমন জানি পানসা পানসা লাগে!!
♦সমাধান: নুন দিয়ে আমড়া কাইট্টা কাইট্টা খান; বুঝছেন? অর্থাৎ সময়টাকে কাজে লাগান। মানুষের যখন পরিশ্রমের তুলনায় অবসর বেশী হয় তখনই লাইফটা বোরিং বোরিং লাগে।
সুতরাং এমন কিছু করুন যেটা করতে ভালো লাগে এবং পকেটে কিছু টাকা আসে…এমনিই মনটা ভালো হয়ে যাবে।
আর ঘরে বসে শর্ট প্যান্ট পড়েও টাকা ইনকাম করার ওপেন প্লাটফর্ম হলো ই-ন-টা-র-নে-ট; এখন আপনি সেই নেটে ইন করবেন কিনা সেইটা আপনার ব্যাপার!
এমন করে বহু বহু সমাধান লেখা যেতেই পারে; সেগুলি পড়ে হয়তো আপনার মনটাও ভালো লাগবে…কিন্তু আপনি যদি সেগুলি মাথাতে ইনপুট করে কাজে না লাগান তাহলে সবই সারশূন্য হয়ে যাবে…..So Let’s Go To Work.